সচেতনতায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়া আছে শ্রীলংকা

"করোনা" বা COVID-19 প্রতিরোধে একমাত্র উপায় এখন ব্যক্তি সচেতনতা। এই করোনা সংকট মোকাবিলা করার জন্য, প্রত্যেকেরই এখন নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করা উচিত। ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত দেশ গুলোর সরকার নিজ নিজ দেশের প্রতিটি শহরকে এবং ঘর বাড়িকে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। সাধারন মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে নিজের এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যাত্রী পরিবহন সহ যাবতীয় সকল দাপ্তরিক কার্যাবলী। সরকার নিজ দায়িত্বেই সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাধারন মানুষ ও করোনার ভয়াবহতা কে অনু্ধাবন করছে খুব ভালো ভাবেই। তাই তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্কতার সাথে পালন করছে সরকার এর প্রণীত নিয়ম। আর এই সচেতনতায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শ্রীলংকা।




এমনই এক বিবৃতি দিয়েছেন শ্রীলংকায় অবস্থানরত, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ চম্পাকা রমনায়ক। 

১২ই এপ্রিল (রবিবার) তিনি অনলাইনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া তে তিনি বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। “সত্যি বলতে, এমন একটি পরিস্থিতিতে সচেতনতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। বাংলাদেশ এর এই পরিস্থিতির জন্য সাধারন মানুষের অসচেতনতাই দায়ী। গ্রাফের চিত্রে অবস্থা আর খারাপ দেখতে না চাইলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে সচেষ্ট থাকতে হবে” এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেন চম্পাক রমনায়ক।

এদিকে, শ্রীলঙ্কার সার্বিক অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, এটা সত্যি একটা ভাল খবর যে আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ অন্য দেশ গুলোর তুলনায় অনেক টাই কম। ২৪ মার্চ থেকেই এখানে সারা দেশ লক ডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। সরকার নিজ দায়িত্বে সরবরাহ করছে নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। আর জাতি হিসেবে শ্রীলংকানরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এখানে সাধারণ জনগণকে আগে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। সাধারন মানুষ এখন ভয়েই ঘরে অবস্থান করছে। আমার নিজের বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তারপর ও আমি ঘরেই অবস্থান করছি। খাবার পানির অভাব এখানে নেই। কারণ, এই বিষয়ে সরকার এর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপরতার সাথে ঘরে ঘরে খাবার পানি পৌঁছে দিচ্ছে”।

নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট প্রশংসা করে, চম্পাকা রমনায়ক বলেন, “বর্তমান অবস্থায় প্রত্যেকটি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হল চিকিৎসক। “করোনা” বা COVID-19 এর ছোবলের সর্বচ্চ ঝুঁকিতে আছেন তারা। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। শ্রীলংকার সরকার এখানে চিকিৎসক দের সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছে”।  

এখন পর্যন্ত শ্রীলংকা তে মোট আক্রান্ত ১৬৩ জন। মারা গেছেন ৭ জন। (সূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)